বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি :: ভারী বর্ষণ-পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দক্ষিণ সুরমা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিয়েছে।
বর্তমানে সুরমার পানি বিপদসীমার উপরে। পানি উপচে নগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলি পয়েন্ট এবং কদমতলি এলাকার হযরত দরিয়া শাহ মাজার মসজিদেরও উঠোনে বন্যার পানি উঠাতে মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য আসতে পারছেন না। বিভিন্ন এলাকায় হু-হু করে পানি ঢুকছে। দক্ষিণ সুরমার ড্রেন ও নালা দিয়ে পানি সুরমায় প্রবাহিত হচ্ছে না। নালা দিয়ে এখন সুরমার পানি দক্ষিণ সুরমার কদমতলির বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছেন। অনেকের বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে রান্নাবান্না বন্ধ। ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত সুরমার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে ওভারব্রিজের নিচের সড়ক। ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। কদমতলী পয়েন্ট জামে মসজিদের উঠোনে ও বারান্দায় বন্যার পানি ঢুকে পড়াতে মুসল্লিরা নামাজে যেতে পারছে না।
কদমতলি পয়েন্টের টিপু বক্সের মার্কেটের ভিতরে বন্যার পানি ঢুকে পড়াতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেক দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় লামাল নষ্ট হচ্ছে। অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে।
কদমতলি এলাকার শামীম বক্সের বাড়িসহ আশপাশের অনেক বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে তাদের বসবাস ও রান্না-বান্নায় ব্যাঘাত ঘটছে।
আলমপুরস্থ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পিছনে নদীর পার্শ্ববর্তী রাস্তায় বন্যার পানি ছুঁই-ছুঁই। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে তলিয়ে যাবে রাস্তা। তাছাড়া মহিলা ও পুরুষ কারিগরি অফিসের পেছনেও বন্যার পানি উপচে পড়ার আশংকা রয়েছে।
কদমতলি এলাকার বাসিন্দা শামীম বক্সের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কোনদিনও আমাদের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতে বন্যার পানি উঠেনি। এবার বন্যার পানি উঠা দেখে আমি হতবাক। পানি নিস্কাশনের অভাবে আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
কদমতলি এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কদমতলি ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলে লাইসেন্সারে পানি ঢুকে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই তারা আপাতত ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন। এতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তারা।